আদি বাংলার অন্তস্থঃ ব একসময়ে বর্গ্য ব-এর সাথে একীভুত হয়ে যায়। বাংলায় অন্তস্থঃ ব-এর উচ্চারণ হয় আগের অক্ষরের সাথে মিলে যায়, নয়ত বর্গ্য ব-এর উচ্চারণে রূপ নেয়। পাণিনির মতে উচ্চারণটি দন্ত্যৌষ্ঠ্য, তবে সুনীতিকুমারের ভাষায় সামবেদের প্রাতিশাখ্য ঋক্তন্ত্র ব্যাকরণের মতে ধ্বনিটি ওষ্ঠ্য বর্ণ। অনেক পরে বাংলায় ধ্বনিটি ফিরে আসে, তবে লেখা হয় ওআ, ওয়া, এমনকি ওা দিয়ে, যেমন ফেরওারিও লেখা হত, পুঁথির যুগে। এবং উচ্চারণটি পাওয়া যায় আ ধ্বনির আগে। আধুনিক বাংলায় বোধ করি ওা-কে আর ফেরানো যাবে না, গেলে হয়ত ভাল হত — পাওা লেখা যেত পাওয়া-র পরিবর্তে। তেমনটি আর হবে না। তবে গেল সংখ্যার দেশ-এ, তপন রায়চৌধুরির আত্মজীবনী বাঙালনামায় লেখা হয়েছে, সে মাঞিফিক, ফরাসি C'est magnifique। বিদ্যাপতির সময়ের পুরনো বাংলায় ঞ-তে কারের ব্যবহার পাওয়া যায়, যেমন গোঙাঞি। হালে ফরাসি ভাষায় বাঙালি পণ্ডিতেরা যেমন লেখে, শম্পাঞ্, শেম্পেনের জায়গায়। বাংলায় সংস্কৃত লেখা হলে দুই ব-এর পার্থক্য করা হয় না। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় পাওয়া যায়, বর্গ্য ব এবং অন্তস্থঃ ৱ, এই রীতিই ব্যাকরণ এবং চোখের জন্য ভাল।
1 comment:
ঞ'র উচ্চারণটা কী রকম হচ্ছে-
মাঞিফিক (মাইনিফিক) এবং শম্পাঞ (শম্পাইন)? তাহলে মিঁঞাও লেখা যাবে না!too bad.
মারমা ভাষায় নদীকে বলে খিঁয়। ঞ'র একটা '-কার' থাকলে খ-এ বসিয়ে লেখা যেত। অন্ততঃ ক্ষঁ লেখা যাবে।
Post a Comment