Sunday, April 01, 2007
একটি জোড়াহরফের নতুন রূপ
বাংলা লেখায় ষ + ্ + ণ যে যুক্ত রূপ (ষ্ণ, ছবির প্রথম রূপ) নেয় তাকে ষ + ্ + ঞ বলে ভুল করা স্বাভাবিক, বাচ্চাদের পক্ষে তো বটেই। তারই বোধ করি অত্যন্ত হালকা প্রতিফলন ঘটেছে বেশ কয়েকটি বাংলা ব্লগে। 'কৃষ্ণ' লেখা হয়েছে 'কৃষ্ঞ'। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি বেশ আগেই ঠিক করেছে যে এখন থেকে তাদের প্রকাশিত বইয়ে ষ-এর নিচে ণ, যা কি না হলফের নিচে বসলে ন-এর মত দেখায়, তা ব্যবহৃত হবে (ছবির দ্বিতীয় রূপ)। প্রশ্ন উঠতে পারে ন- এবং ণ-ফলা একই রকম দেখালে কি করে হবে? হক কথা। রুগ্ন শব্দে গ-এর নিচে কিন্তু ণ-ই, ন নয়। এর জন্য আলাদা কোনও ফলা চিহ্ন নেই। বাংলা আকাদেমির অনেক বইয়ে আবার ছোট ষ-এর নিচে-পাশে ণ দেখা যায় (ছবির তৃতীয় রূপ)। অনেক পুরনো অ-আ-ক-খ বইতে ছবির চতুর্থ রূপটিও দেখা যায়। এর আগে অনেকেই যুক্ত হরফের নতুন রূপের প্রস্তাব করে চালু করতে পারে নি। বাংলা আকাদেমি সমালোচনার মুখেও নতুন রূপের হরফ দিয়ে বই ছাপিয়ে যাচ্ছে। পুরো বাংলায় চালু হতে সময় লাগলেও, একে অগ্রাহ্য করার কোন কারণ বোধ করি আর থাকবে না?
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
6 comments:
বৃন্দা ফন্টের নতুন সংস্করণে ণ-ফলার একটা অপরিচিত গ্লিফ পেয়েছি।
রুগ্ন না লিখে ভেঙে রুগ্ণ লেখাই ভালো, আমার মতে।
তা ঠিক, তবে কৃষ্ণ'র ক্ষেত্রে আগের ছাপা বইতে যেমন পাওয়া ষ-এর নিচে ণ, সে দিক দিয়ে দেখলে রুগ্ন ঠিক ধরা উচিত। সরলীকরণে রুগ্ণ-ই ভাল। ধন্যবাদ।
বানান এবং যুক্তাক্ষরের আদি রূপকেই প্রাধান্য দেয়া ভালো।
জ্ঞ যুক্তাক্ষরটাও স্পষ্ট করা দরকার। অর্থাৎ জ্ এর নিচে ঞ।
mkmansur: আদি রূপ ঠিক করব কি করে? পুঁথির রূপ, হালেডের ব্যাকরণের রূপ, কেরীর রূপ, ঊনিশ শতকের পরের রূপ, লাইনোটাইপের রূপ, মনোটাইপের রূপ নাকি ইন্টারটাইপের রূপ? সেটাই সমস্যা।
mrututl8 (মাহাবুবুর রাহমান: দুটো যুক্ত ব্যঞ্জনের চেহারা পাল্টানোটা জরুরি, কিন্তু প্রায় অসম্ভব (কামাল আতাতুর্কের প্রয়োজন হয়ে পড়বে) -- ক্ষ আর জ্ঞ। কারণ অন্যান্য জোড়াহরফের উচ্চারণ অরেকটা আগের মতই রয়ে গেছে, কিন্তু এদুটোর ক্ষেত্রে তা নয় এবং সেটাই সমস্যা।
আমরা তো ছোট থেকেই এভাবে শিখেছি-জেনেই শিখেছি, কোন যুক্তবর্ণে কী আছে। ছেলেমেয়েরা না যদি শেখে, তাহলে একশোবার পাল্টালেও কাজ হবে না। এ যেন ফেল কমাবার জন্য সিলেবাস সহজ করে দেওয়ার মত। মূর্খতার জয়জয়কার।
Post a Comment