বাংলার না-চলা বানানো হরফ
বাংলায় বিভিন্ন সময় প্রয়োজন মনে ক'রে, দু'য়েক বার অপ্রয়োজনেও, হরফ বানানো হয়েছে, দু'বাংলায়ই, যদিও সেগুলো চলেনি, কিংবা ব্যবহৃত হয়েছে যারা বানিয়েছে তাদের লেখায়, তাও দু'য়েকবারের বেশি নয়। অনেকে চেষ্টা করেছে এ-কার পরে উলটে লেখার। যোগেশ্চন্দ্র বিদ্যানিধি এদের মধ্যে অগ্রগণ্য। পবিত্র সরকার অ্যা ধ্বনির জন্য এ-র পেট কেটে একটি হরফ বানিয়েছিল, এর কারের রূপটি ছিল এ-কারের মতই, কেবল পেটের কাছে প্যাঁচ-খাওয়া। পলাশ বরন পাল এ এবং কার দুটোরই পেট কেটে দু'টি হরফ বানিয়েছে। বাংলাদেশে ছবির শেষ হরফ দু'টির প্রস্তাব করেছিল মুহম্মদ ফিরদৌস খান, একটি অন্তস্থ ব-এর জন্য, যেন হাওয়া হিন্দির মত দেবনাগরী হরফে हावा লেখা যায়, এবং ও-কারের জন্য প্যাঁচ-খাওয়া উলটানো এ-কার যা শব্দের পরে বসানোর জন্য। অনেকে আবার দেবনাগরী থেকে এ-কার এবং ও-কার, বা ঔ-কারের ব্যবহারের পক্ষপাতী ছিল। কিন্তু কোনও নতুন হরফই চলে নি। দু'য়েক ক্ষেত্রে, যেমন অভিধান রচনায়, হয়ত কাজে এসেছে বা আসার কথা এসব নতুন হরফের, তবে যারা এর প্রচলনের চেষ্টা করেছিল তারাও তাদের আর কোনও লেখায় এসবের ব্যবহার করে নি।
1 comment:
বা! বেশ মজার তো! এই তথ্য জানতাম না। আপনি কোন বইতে পেয়েছেন, জানাবেন কি?
Post a Comment