Sunday, June 17, 2007

সব হরফসমেত বাংলা বাক্য

ইংরেজিতে সব হরফসমেত এক বাক্যের সঙ্খ্যা অনেক, এবং সব চেয়ে প্রচলিত বাক্যটি হল A quick brown fox jumps over the lazy dog । বাংলায়ও এমন একটি বাক্য আছে, খুব প্রচলিত নয়। 'বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত নিখুঁত গল্পটি অর্ধেক বলতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা হৈ-হৈ করে উঠল --- ওঃ, থামো বুঝেছি বড্‌ডো পুরাণো ঢঙের গল্প --- মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি --- এ নীতি যার না?' বাক্যটিতে বাংলা বর্ণমালার প্রায় সব হরফই আছে, যদিও রচনাটা একটু আড়ষ্ট। বাক্যটি পাওয়া যাবে মনোজকুমার মিত্রের লেখা প্রবন্ধ "বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা"-য়। লেখাটি ছাপা হয়েছিল কলকাতা থেকে ১৯৯৩ সালে বের হওয়া পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির বই 'প্রসঙ্গ বাংলাভাষা'-য়। রোমান হরফে লেখা হয় এমন ভাষায়, বিশেষত ইংরেজিতে, হরফযোজনা বা বর্ণবিন্যাসের উদাহরণে একটি লাতিন বাক্যের ব্যবহার করা হয় --- Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur. Excepteur sint occaecat cupidatat non proident, sunt in culpa qui officia deserunt mollit anim id est laborum। প্রায় পনেরশ' খ্রিস্টাব্দ থেকে ছাপার উদাহরণে ইউরোপে এই বাক্যের ব্যবহার করা হতে থাকে। এতে করে বাক্যের বিষয়ের চেয়ে হরফের চেহারার দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয়, কারণ ভাষাটা লাতিন। এই বিবেচনায় বাংলায় এমন একটি বাক্য বা অনুচ্ছেদের ব্যবহার করতে হলে তা সংস্কৃত, প্রাকৃত অথবা পালি থেকে নেওয়া উচিত। কয়েকদিন আগে অনুজ এক বন্ধুর প্রশ্ন ছিল, বাংলার হরফযোজনার উদাহরণ হিসেবে এমন কোনও বাক্য বা অনুচ্ছেদের ব্যবহার করা হয়, বা যায়, কি না? এখনও পর্যন্ত এমন কোনও কিছু চোখে পড়ে নি। বাংলা টাইপ ফাউন্ড্রির নমুনা বইয়ে দেখা যায় তারা বিভিন্ন লেখার অংশ হরফের চেহারা দেখাতে ব্যবহার করেছে।

1 comment:

Anonymous said...

শব্দবাক্য ওলটপালট করে :
বর্ষামুখর দিন শেষে, ঊর্দ্ধপানে চেয়ে যখন আষাঢ়ে গল্প শোনাতে বসে ওসমান ভুঁইঞা, ঈষান কোণে তখন অন্ধকার মেঘের আড়ম্বর, সবুজে ঋদ্ধ বনভূমির নির্জনতা চিরে থেকে থেকে ঐরাবতের ডাক, মাটির উপর শুকনো পাতা ঝরে পড়ে ঔদাসীন্যে, এবং তারই ফাঁকে জমে থাকা ঢের পুরোনো গভীর দুঃখ হঠাৎ যেন বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে ধূসর জীবনে রঙধনু এনে দেয়। (বিস্তারিত)

এখনকার ডিজুস-চ্যাংড়াদের মুখের বুলি দিয়ে বাক্য বানাতে পারলে বেশ হতো!