
Thursday, July 27, 2006
বাংলার না-চলা বানানো হরফ

Tuesday, July 18, 2006
বাংলার অঙ্কপাতন
দশগুণের বাংলা মতে গণনার জন্য আঠারটি ঘর রয়েছে — একক, দশক, শতক, হাজার বা সহস্র, অযুত, লক্ষ, নিযুত, কোটি, অর্বুদ, পদ্ম, খর্ব, নিখর্ব, মহাপদ্ম, শঙ্কু, জলধি, অন্ত্য, মধ্য, পরার্ধ। প্রতিটি ঘর আগের ঘরের মানের দশগুণ। কিন্তু কোটির পরের শব্দগুলি ব্যবহার করা হয় না। আর পড়ার সময় অযুত, নিযুত ও কোটির পরের শব্দগুলি ধরা হয় না। কোটির পরের সব ঘরের সংখ্যা মিলে কোটি, লক্ষ ও নিযুত সব মিলে লক্ষ আর হাজার আর নিযুত মিলে হাজার ধরা হয়। অঙ্কের ডানের দিকের তিন সংখ্যা পর এবং তার পর দুই সংখ্যা পর পর কমা বসিয়ে, পড়াটা সহজ করাই নিয়ম, যেমন ৫২,৯৭,৩১,৭১৫। তবে অনেক সময় দুই বা তিন অঙ্কের মাঝখানের কমার সাথে ভুল করার সম্ভাবনা দূর করার জন্য কমার জায়গায় হসন্ত চিহ্ন ব্যবহার করার নিয়মও আছে, যেমন, ৫২্৯৭্৩১্৭১৫। আজকালের অনেকেই হসন্ত চিহ্নের এই ব্যবহারে একটু বিচলিত হতে পারে। তবে নিয়মটা কিন্তু ছিল।
Saturday, July 15, 2006
বেং এবং ভ্যাক
সেই ছোটবেলায় পশ্চিম বাংলার আনন্দমেলায় পবিত্র সরকারের একটি লেখায় পড়েছিলাম। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক, যশোরের লোক, বাংলা পড়ায় এম এ ক্লাসে। একদিন পড়াচ্ছিল বিদ্যাপতি:
কুলিশ শত শত পাত মোদিত,
ময়ূর নাচত মাতিয়া;
মত্ত দাদুরী, ডাকে ডাহুকি—
ফাটি যাওত ছাতিয়া।
হঠাৎ এক ছাত্র জিজ্ঞেস করল, দাদুরী মানে কি? শিক্ষক বিরক্ত। এম এ ক্লাসের বাংলার ছাত্রের অর্থটি জানা থাকবার কথা। তবুও শিক্ষক উত্তর দিল, বেং। ছাত্রের দ্বিতীয় প্রশ্ন, বেং মানে কি? শিক্ষক রীতিমত হতবাক। তবুও উত্তর এল, ভ্যাক। ছাত্র বে-বাক।
বাংলায় এ এবং অ্যা এই দুই স্বরই লেখা হয় বেশিরভাগ সময় এ দিয়ে। অনেক আগের রীতি। অনেক সময় আবার নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনাও হয়েছিল। তবে কোনওটিই টিকতে পারে নি। বাংলায় এ-কার দুটি, শুরুতে মাত্রা ছাড়া, যা বসে শব্দের শুরুতে, আর মাত্রা সহ যা বসে মাঝে এবং শেষে। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রনাথের বইয়ে শব্দের শুরুতে মাত্রাসহ এ-কারের অর্থ উচ্চারণটি হবে অ্যা দিয়ে। ব্যাপারটি কেবল বিশ্বভারতীর রবিঠাকুরের বইয়েই থেকে যায়। যোগেশচন্দ্রবিদ্যানিধি, পবিত্র সরকার আর হালে পলাশ বরণ পাল সহ অনেকেই নতুন হরফের প্রচলনের চিন্তা করেছে। তাদের ব্যবহার আর হয়ে ওঠে নি। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে নতুন হরফের কথা ভাবা হয়েছিল, কাজ হয়ে ওঠে নি। নিজের বাড়িতে বসে টাকা বানালে তা বাজারে চলে না।
কুলিশ শত শত পাত মোদিত,
ময়ূর নাচত মাতিয়া;
মত্ত দাদুরী, ডাকে ডাহুকি—
ফাটি যাওত ছাতিয়া।
হঠাৎ এক ছাত্র জিজ্ঞেস করল, দাদুরী মানে কি? শিক্ষক বিরক্ত। এম এ ক্লাসের বাংলার ছাত্রের অর্থটি জানা থাকবার কথা। তবুও শিক্ষক উত্তর দিল, বেং। ছাত্রের দ্বিতীয় প্রশ্ন, বেং মানে কি? শিক্ষক রীতিমত হতবাক। তবুও উত্তর এল, ভ্যাক। ছাত্র বে-বাক।
বাংলায় এ এবং অ্যা এই দুই স্বরই লেখা হয় বেশিরভাগ সময় এ দিয়ে। অনেক আগের রীতি। অনেক সময় আবার নতুন কিছু করার চিন্তাভাবনাও হয়েছিল। তবে কোনওটিই টিকতে পারে নি। বাংলায় এ-কার দুটি, শুরুতে মাত্রা ছাড়া, যা বসে শব্দের শুরুতে, আর মাত্রা সহ যা বসে মাঝে এবং শেষে। বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রনাথের বইয়ে শব্দের শুরুতে মাত্রাসহ এ-কারের অর্থ উচ্চারণটি হবে অ্যা দিয়ে। ব্যাপারটি কেবল বিশ্বভারতীর রবিঠাকুরের বইয়েই থেকে যায়। যোগেশচন্দ্রবিদ্যানিধি, পবিত্র সরকার আর হালে পলাশ বরণ পাল সহ অনেকেই নতুন হরফের প্রচলনের চিন্তা করেছে। তাদের ব্যবহার আর হয়ে ওঠে নি। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে নতুন হরফের কথা ভাবা হয়েছিল, কাজ হয়ে ওঠে নি। নিজের বাড়িতে বসে টাকা বানালে তা বাজারে চলে না।
Sunday, July 09, 2006
ফ এবং জ এর দুই উচ্চারণ
মান্য বাংলা উচ্চারণে ফ স্পৃষ্ট এবং জ ঘৃষ্ট ধ্বনি হিসেবে ধরা হয়। দু'টি উচ্চারণেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসা বাতাস বাধা পেয়ে ধাক্কা খেয়ে শব্দ তৈরি করে। তবে কিছু বাংলাভাষীর কথায় ফ উস্ম ধ্বনি, জ-ও। বিশেষত চট্টগ্রাম, নোয়াখালি বা সিলেটের দিকে। শিক্ষিত অনেকেই বিশেষ করে ফ-কে উস্ম ধ্বনি হিসেবে উচ্চারণ করে, সাধারণত বিশেষ কিছু শব্দে, যেমন, ফুফা, যদিও শব্দটি ফুপা, এবং দুফুর, যদিও শব্দটি দুপুর। তারপরও উস্ম ধ্বনির মত করে, ইংরেজির এফ এবং জেড-এর মত, উচ্চারিত হয় ফ এবং জ, খোদা হাফেজ বলতে গিয়ে, শিক্ষিত কি অশিক্ষিত সবার বুলিতেই।
Tuesday, July 04, 2006
বাংলায় জ়েড-এর রূপ

Subscribe to:
Posts (Atom)