ভ্লাদিমির নবোকভ (Владимир Набоков) বা ভ্লাদ্যিম্যির নবোকফ, রুশ উচ্চারণ মতে হয়ত এরকমই কিছু একটা হবে, এই য-ফলাটা তালব্যীভবনের (palatalisation) সূত্র। গেল ডিসেম্বরে দেশ-এর এক সঙ্খ্যায় ভ্লাদিমির পুতিন লিখতে গিয়ে একটি নতুন যুক্তাক্ষরের ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলায় সাধারণত এসব ক্ষেত্রে ভ-এ হস্ চিহ্ন দিয়ে ল, ভ এর নিচে ল-ফলা বা লাইনোটাইপের যুগে (রাশিয়া থেকে প্রকাশিত পুরনো বইগুলোয় যেমনটি দেখতে পাওয়া যায়) ভ এর পাশে লম্বা দণ্ডযুক্ত নিচে ঝুলে পড়া ল-ফলা দিয়ে লেখা হত; এখনও তাই হয়। আনন্দবাজার ছাপানোর জন্য কম্পিউটারে নিজের তৈরি হরফ ব্যবহার করে। একাজে আনন্দবাজার প্রায় তিনটি আলাদা আলাদা ফন্ট ফাইল ব্যবহার করে, অন্তত দৈনিক পত্রিকাটির ওয়েব সাইট থেকে তাই মনে হয়। এর তিন নম্বর ফাইলে এই ভ এবং ল-এর যুক্তাক্ষরটি বেশ আগেই রাখা ছিল, ব্যবহার এতদিন তেমন একটা চোখে পড়ে নি। এই যুক্তাক্ষরটি বানানো হয়েছে ভ্র-এর আদলে। সাধারণভাবে প্রচলিত যক্তাক্ষরের বাইরে সাধারণত নতুন যুক্তাক্ষর প্রচলনের প্রয়োজন আছে কি?
2 comments:
আপনি সঙ্খ্যা লেখেন কেন?
অজ্ঞাতনামা, যদিও নামে কিছু এসে যায় না তারপরও তাতে কথা কইতে সুবিধে হয়। যোগাযোগের রাস্তা থাকলে আরও ভাল। যাই হোক, সঙ্খ্যা লিখি অনেকটা অভ্যাসের কারণে। যদিও এখানে সংখ্যা লেখা যায় কারণ অনুস্বারটি ম্ সন্ধির পরিণাম। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
Post a Comment