সাধারণত যা মান্য বাংলা, চলিতই হোক বা সাধু, তার ধ্বনিমূলের সংখ্যা প্রধানত ৪৫ --- ৮টি স্পৃষ্ট (/p b t d ʈ ɖ k ɡ/), ২টি ঘৃষ্ট (/tʃ dʒ/), ১টি তাড়িত (/ɽ/), ১১টি মহাপ্রাণ (/ pʰ bʱ t̪ʰ d̪ʱ ʈʰ ɖʱ kʰ ɡʱ tʃʰ dʒʱ ɽʱ/), ৩টি নাসিক্য (/ m n ŋ/), ২টি উষ্ম (/ʃ ɦ/), ১টি কম্পিত (/r/), ১টি পার্শ্বিক(/l/), ২টি নৈকট্যক (/ĕ ŏ/), ৭টি সাধারণ স্বরধ্বনি (/i e æ ɑ ɔ o u/), এবং ৭টি অনুনাসিক স্বরধ্বনি (/ɪ̃ ẽ æ̃ ɑ̃ ɔ̃ õ ũ/)।
উষ্ম /s/ ধ্বনিকে মান্য বাংলার /ʃ/ ধ্বনিমূলের সহধ্বনি হিসেবে ধরা হয়। এছাড়াও ৫টি ধ্বনিমূলকে /f v ɸ β z/ গৌণ ধ্বনিমূল হিসেবে ধরা হয়। সাধারণভাবে এগুলো লোকের প্রচলিত বুলিতে না শোনা গেলেও, শিক্ষিত বুলি বা সচেষ্ট উচ্চারণে প্রায়ই শোনা যায়। বাংলায় আরও ৬টি বিদেশি ধ্বনিমূলের /q ʕ ʒ x ɣ ħ/ সাক্ষাত পাওয়া যায়, একটি ইংরেজি শিক্ষিত লোকের বুলিতে, আর বাকিগুলো ভাল আরবি-ফারসি জানা লোকের বাচনে।
সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলায় ধ্বনিমূল ৩৫টি, সাথে ৫টি গৌণ ধ্বনিমূল। উষ্ম /s/ একটি আলাদা ধ্বনিমূল, এবং মহাপ্রাণতা আলাদা ধ্বনিমূলতার দাবি রাখে না। রামেশ্বর শ'র মতে ধ্বনিমূল ৪৪টি, ২টি উষ্মধ্বনি সহ। পবিত্র সরকারের মতে ধ্বনিমূলের সংখ্যা ৪৭। চার্লস্ ফার্গুসন ও মুনীর চৌধুরীর মতে ধ্বনিমূলের সংখ্যা ৪৭। রফিকুল ইসলামের মতেও তাই। তবে কারও কারও মতে বাংলায় নৈকট্যকের সংখ্যা চার, কারও মতে /s/ আলাদা ধ্বনিমূল।
No comments:
Post a Comment