পুরনো বাংলায় নিয়ম ছিল শব্দ দ্বিরুক্তির জন্য শব্দ একবার লিখে পরে, অনেক সময় তার প্রায় গায়ে লাগিয়ে, ২ সঙ্খ্যাটি লেখা — অর্থ আগের শব্দটি পুনরুক্ত হচ্ছে। যেমন, — ‘যেহেতুক পৃথিবীর মধ্যে যে২ কর্ম্ম হইয়াছে সে২ কর্ম্মহইতে এ কর্ম্ম বড়।’ শ্রীরামপুর থেকে মিশনারিদের প্রকাশিত মাসিক দিগ্দর্শন প্রথম সংখ্যার (এপ্রিল ১৮১৮) প্রথম পৃষ্ঠা থেকে নেওয়া। গেল শতকের মাঝামাঝির পরেও ছাপানো পুঁথিতে এই ব্যাপারটি চোখে পড়ে। পুরনো লেখায়, পুঁথি বা সাধারণ কাজে, এই নিয়মের প্রচলন ছিল। পুঁথিতে দেখা যায়, ‘কৃষ্ণ২ বলি গোপী ডাকে অচেতনে।’
১৮৯১ সালে অক্সফোর্ড ক্ল্যারেন্ডন প্রেসের ছাপানো সাহিত্যিক ও কথ্য রূপের বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (Grammar of the Bengali Language: Literary and Colloquial)-এ জন বিম্স-এর একটি বর্ণনা পাওয়া যায়, — যখন কোনও শব্দের পুনরুক্তি হয়, বিশেষত বাংলা যা প্রায়শই ঘটে, তখন শব্দটি একবার লেখার পর যতবার তার পুনরুক্তি ঘটবে তার সঙ্খ্যাটি লেখার নিয়ম। যেমন যে যে লেখা হয় যে২, পুনঃ পুনঃ লেখা হয় পুনঃ২, শ্রী শ্রী শ্রী লেখা হয় শ্রী৩।
আধুনিক মান্য সাহিত্যের বা চলতি বাংলায় নিয়মটি উঠে গেছে।
No comments:
Post a Comment