চলতি প্রথায় চাঁদের বানান চ-এ চন্দ্রবিন্দু যোগ আ-কার আর দ। অন্তত এভাবেই শিশুদের বর্ণশিক্ষা দেওয়া হয়। কারণটি বোধ করি সীসার সাবেকি ছাঁদের হরফে চন্দ্রবিন্দু ছাপায় সাধারণত মূল ব্যঞ্জনের উপরে বসে। প্রযুক্তিগত কারণে। মূল হরফের সাথে একই ছাঁদে চন্দ্রবিন্দু ঢালাই করা হত যেন ছাপার সময় হরফ ভেঙ্গে না যায়। সেই ধারায় কম্পিউটারে ২৫৬-হরফের নিয়মে যখন বাংলা লেখা হয়, তখনও আগে মূল হরফ, তারপর চন্দ্রবিন্দু এবং তারপর কার বসানো হয়। হালে ইউনিকোড চালু হওয়ায় ক্রমটি পাল্টে গেছে। আগে মূল ব্যঞ্জন, পরে কার এবং শেষে চন্দ্রবিন্দু, কারণ চন্দ্রবিন্দুর কাজটি হল স্বর বা স্বরের চিহ্নকে আনুনাসিক করা, মূল ব্যঞ্জন হরফকে নয়। আবার স্বরের চিহ্ন ছাড়া চন্দ্রবিন্দু বসলে তা মূল হরফের পরেই বসে, তার কারণ চন্দ্রবিন্দু এখানে চ্ ব্যঞ্জনে নিহিত অ-এর উচ্চারণকে আনুনাসিক করে। ব্যাপারটা একটু গোলমেলে ঠেকলেও চাঁদ বানানে আ-কারের পরেই চন্দ্রবিন্দু বসা উচিত, চ-এর পরে নয়, আর আ-কার বসলে চ্-এর নিহিত অ-স্বরের কোনও অস্তিত্ব থাকে না।
3 comments:
আচ্ছা! তার মানে বিজয় এর নিয়মটা ভুল ছিল। কিন্তু আধুনিক ইউনিকোডের নিয়মটাই সঠিক।
ইউনিকোড আসার আগে ছাপানো বাংলার প্রায় আড়াইশ' বছর কেটে গেছে। এই সময় ধরে এবং তারও আগে বাংলাভাষীরা পুরনো নিয়মেই বানান করে এসেছে। ইউনিকোডের আগমনে তাকে ভুল বলাটা বোধ করি ঠিক হবে না। তবে এটা সত্য ইউনিকোড নিয়মটা পাল্টেছে, এবং তা যুক্তিসঙ্গত। এবং বাংলা ছাপাখানায় ওঠার প্রথম দিকে বা তারও আগে যারা রোমক হরফে বাংলা লিখতে গিয়েছিল, তারাও ইউনিকোডের নিয়মটিই মানত, কারণ তা তখনও যুক্তিসঙ্গত ছিল। যুক্তির বোধ করি ধার কমে না। ধন্যবাদ।।
হুম্ ... "আঁকা" বানানটা কিন্তু আমরা বরাবরই ঠিক পড়ে এসেছি, তাই না? "আ-য় চন্দ্রবিন্দু, ক-য় আকার"। আসলে আপনার কথাটা ঠিক। এ ক্ষেত্রে আমরা উচ্চারণ মেনে বানান পড়ি না, লিখনশৈলী দেখে পড়ি।
Post a Comment