রোমক হরফে বাংলা লেখার কায়দা ঠিক করার সময় আরও কিছু ব্যাপার আলোচনা করা হয়েছিল যা শেষ পর্যন্ত 'আমাস ১৫৯১৯: দেবনাগরী এবং সম্পর্কিত ইন্দীয় লেখার লাতিন হরফে প্রতিবর্ণীকরণ' পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। তবে একটা খসড়া দাঁড় করানো হয়েছিল, বাংলা হরফে বিদেশি ধ্বনি, বিশেষত আরবি-ফারসি, লেখার জন্য। যেমন, s̱ (ث) _s, h̤ (ح) ,h, ḵẖ (خ) _kh, ẕ (ذ) _z, z (ز) z, ž (ژ) ^z, s̤ (ص) ,s, ż (ض) ;z, t̤ (ط) ,t, ẓ (ظ) .z, ‘ (ع) `, ġ (غ) ^g, f (ف) f, q (ق) q, এবং w (و) w। বন্ধনীর আগে ছাপানোর জন্য, বন্ধনীর মাঝে আরবি-ফারসি এবং বন্ধনীর পরে ASCII চিহ্ন দেওয়া হল। বাংলা হরফের সাথে বিভিন্ন সময়ে এবং বইয়ে বিভিন্ন বর্ণাশ্রয়ী চিহ্নের ব্যবহার করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একটি নিম্ন-বিন্দু বা পার্শ্ব-বিন্দুই নিয়ম। অন্ততপক্ষে জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস এবং সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, নিম্ন-বিন্দু দিতে হবে, যেমন স়, হ়, খ়, জ়, জ়, ঝ় (জ̤), স়, দ় (ধ়), ত়, জ়, ‘অ, গ় (ঘ়), ফ়, ক় এবং ব় (ৱ); নিম্ন-বিন্দু না দেওয়া গেলে পার্শ্ব-বিন্দু দিতে হবে, যেমন ক., খ., বা গ.। কোথাও বা বিন্দুটি মাত্রার ঠিক পাশে বা উপরে বসানো হয়। তারপরেও যেহেতু একই পদ্ধতির মধ্যে একটাই কেবল নিয়ম থাকা উচিত, তাই যেকোনও একটি চিহ্নের ব্যবহার করলেই চলবে। বিন্দু দিয়ে হরফের পরিবর্ধন ইন্দীয় অন্যান্য ভাষাতেও আছে। তবে পুরো ব্যাপারটি কিন্তু বিশেষায়িত কাজের জন্য, আমজনতার লেখার জন্য নয়। জ্ঞানের যেমন ভার আছে, ঝামেলাও তেমনই বেশি।
No comments:
Post a Comment