বাংলায় শব্দসঙ্ক্ষেপনের জন্য একেক জায়গায় একেক কায়দা চোখে পড়ে। কেউ ডাক্তার, সে চিকিৎসকই হোক বা অচিকিৎসক, লেখে ডাঃ, কেউবা ডা. কেউ শুধু ডা (কোনও রকম চিহ্ন ছাড়া); অনেকে আবার চিকিৎসক হলে ডা, অচিকিৎসক হলে ড লেখে। কেউ কেউ ইংরেজির ফুল স্টপের পরিবর্তে কমা ব্যবহারের পক্ষপাতী। আনন্দবাজার পত্রিকার লেখনরীতি বিন্দুকেই প্রাধান্য দিয়েছে, যদিও বলা আছে অনেকে পঃ বঙ্গ লিখে পশ্চিম বঙ্গ বোঝায়।পুরনো দিন থেকে বাংলায় শব্দ সঙ্ক্ষেপনের জন্য হয় অনুস্বার (ঃ) নয় বিসর্গ (ং) ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক পুরনো বাংলা দলিলপত্রে দেখা যায় ইং (ইংরেজি), কাং (কাছারি), গুঃ (গুজরত, মারফত), পঃ (পরগনা), ইত্যাদি। এখনও দেখা মেলে কোং (কোম্পানি), গং (গয়রহ), তাং (তারিখ), নং (নম্বর), বা মোঃ (মোহাম্মদ), মোসাঃ (মোসাম্মত), আঃ (আব্দুল), রেজিঃ (রেজিস্ট্রেশন), ইত্যাদি। যারা নামের শব্দ সঙ্ক্ষেপের জন্য ইংরেজির ফুল স্টপের ব্যবহার করে তাদেরই লেখায় আবার পাওয়া যায় কোং, তাং, নং, ইত্যাদি। এদের কেউই আবার ন. (নম্বর), মো. (মোহাম্মদ), তা. (তারিখ) ইত্যাদি লেখে না, যদিও লেখে ড. বা ডা.। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের অভিধানে পুরনো বাংলার অনুস্বারের আদলে একটি ছোট বৃত্ত, তবে মাত্রার বেশ নিচে, ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন,বা৹। রাজশেখর বসুর চলন্তিকায় দেখা যায় বিঃ অর্থ বিশেষ। চলন্তিকায় অবশ্য তু. বলতে তুর্কি শব্দ আর তুঃ বলতে তুলনীয় বোঝানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment