যেখানে বাংলার জন্য বঙ্গলিপি ব্যবহার করা যায় না এমন ক্ষেত্রে রোমক হরফের ব্যবহার করা হয় হামেশাই। ইংরেজিতে বা রোমক হরফ ব্যবহার করে এমন যে কোন ভাষার কোনও বইয়ে এবং ইংরেজি খবরের কাগজে প্রতিনিয়ত। আগের সংস্কৃত লেখার নিয়মে পুরোপুরি বাংলা লেখা যায় না বিধায় আন্তর্জাতিক মান সংস্থা ২০০১ সালে 'আমাস ১৫৯১৯: দেবনাগরী এবং সম্পর্কিত ইন্দীয় লেখার লাতিন হরফে প্রতিবর্ণীকরণ' নামের এক পদ্ধতি চালু করে। এই নিয়মে বঙ্গলিপির রোমক প্রতি-হরফ গুলো হল: অ (a), আ (ā), ই (i), ঈ (ī), উ (u), ঊ (ū), ঋ (r̥), এ (e), ঐ (ai), ও (o), ঔ (au), ক (k), খ (kh), গ (g), ঘ (gh), ঙ (ṅ), চ (c), ছ (ch), জ (j), ঝ (jh), ঞ(ñ), ট (ṭ), ঠ (ṭh), ড (ḍ), ঢ (ḍh), ণ (ṇ), ত (t), থ (th), দ (d), ধ (dh), ন (n), প (p), ফ (ph), ব (b), ভ (bh), ম (m), য (y), র (r), ল (l), শ (ś), ষ (ṣ), স (s), হ (h), ড় (ṛ), ঢ় (ṛh), য় (ẏ), ৎ (t[:]), ং (ṁ), ঃ (ḥ), এবং ঁ (m̐) (স্বরের সাথে ~, উপরে বসবে)। সাথে যে নিয়মগুলো মানতে হবে তা হল প্রতিটি অন্তর্নিহিত অ লিখতে হবে; এই অ-এর অনুপস্থিতি বিরাম (হস বা হল) চিহ্ন হিসেবে পরের ব্যঞ্জনের সাথে মিলে যুক্তাক্ষর তৈরি করবে। যদি কখনও বিরাম চিহ্নের কারণে অনিভপ্রেত অক্ষর তৈরি হয় তা ঠিক করার জন্য দুই অক্ষরেরর মাঝে বা কোনও অক্ষরের আগে কোলন (:) চিহ্নের ব্যবহার করতে হবে, যেমন বই (ba:i) বা বৈ (bai)। যে কোনও ব্যঞ্জনের সাথে য-ফলার জন্য y হলেও য-এ য-ফলার জন্য ẏẏ ব্যবহার করতে হবে। যতিচিহ্ন অপরিবর্তিত থাকবে আর সঙ্খ্যা হিন্দু-আরবি সঙ্খ্যায় রূপান্তরিত হবে। যদি কখনও কম্পিউটারে ASCII-তে লিখতে হয় তার জন্য রোমক বর্ণমালাটি হল: অ (a), আ (aa), ই (i), ঈ (ii), উ (u), ঊ (uu), ঋ (,r), এ (e), ঐ (ai), ও (o), ঔ (au), ক (k), খ (kh), গ (g), ঘ (gh), ঙ (;n), চ (c), ছ (ch), জ (j), ঝ (jh), ঞ(~n), ট (.t), ঠ (.th), ড (.d), ঢ (.dh), ণ (.n), ত (t), থ (th), দ (d), ধ (dh), ন (n), প (p), ফ (ph), ব (b), ভ (bh), ম (m), য (y), র (r), ল (l), শ (;s), ষ (.s), স (s), হ (h), ড় (.r), ঢ় (.rh), য় (;y), ৎ (t[:]), ং (;m), ঃ (.h), এবং ঁ (~m) (স্বরের সাথে ~, আগে বসবে)।
ছাপার জন্য রোমক বর্ণমালায় বাংলার উদাহরণ: haẏato dekhibe ceẏe sudarśana uṛiteche sandhyāra bātāse. / haẏato śunibe eka lakṣmīpẽcā ḍākiteche śimūlera ḍāle. বা ASCII-তে ha;yato dekhibe ce;ye surar;sana u.riteche sandhyaara baataase. / ha;yato ;sunibe eka lak.smiip~ecaa .daakiteche ;simuulera .daale. (হয়তো দেখিবে চেয়ে সুদর্শন উড়িতেছে সন্ধ্যার বাতাসে। / হয়তো শুনিবে এক লক্ষ্মীপেঁচা ডাকিতেছে শিমূলের ডালে)।
ইংরেজি পত্রিকায় বা খবরের কাগজে বা খানিকটা সরকারি কাজে যেখানে প্রতিবর্ণীকরণ কঠিনভাবে মানার প্রয়োজন নেই, সেখানের নিয়মটা একটু আলাদা। ১৮৭১ সালে ভারতের পরিসঙ্খ্যান মহাপরিচালক উইলিয়াম উইলসন হান্টার 'ভারতীয় নামের বানানের নির্দেশিকা'য় তারই ১৮৬০ সালের দিকে তৈরি করা এক লিপ্যন্তরীকরণ পদ্ধতির প্রকাশ করে। পরের বছর ভারত সরকার তা গ্রহণ করে। সেই হান্টারীয় (Hunterian) পদ্ধতিতে দীর্ঘ স্বরের উপরে মাত্রা (macron) বসবে (যদিও সার্ভে অব বাংলাদেশ গেল শতাব্দীর আশির দশক থেকে স্থানের নামের বানানের ক্ষেত্রে এই মাত্রা আর ব্যবহার করে না): অ (a), আ (ā/a), ই (i), ঈ (ī/i), উ (u), ঊ (ū/u), ঋ (ri), এ (e), ঐ (ai), ও (o), ঔ (au), ক (k), খ (kh), গ (g), ঘ (gh), ঙ (ng), চ (ch), ছ (chh), জ (j), ঝ (jh), ঞ(ny), ট (t), ঠ (th), ড (d), ঢ (dh), ণ (n), ত (t), থ (th), দ (d), ধ (dh), ন (n), প (p), ফ (ph), ব (b), ভ (bh), ম (m), য (y), র (r), ল (l), শ (s/sh), ষ (sh), স (s), হ (h), ড় (r), ঢ় (rh), য় (ẏ), ৎ (t), ং (m/n), ঃ (h), এবং ঁ (m)। উচ্চারিত না হলে অন্তর্নিহিত অ লেখা হয় না। জ্ঞ কে gy লেখা হয়।
No comments:
Post a Comment